শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,শহীদ বুদ্ধিজীবী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপ্রধান স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার অংশ হিসেবে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং শেষ পদে বিগলটি বাজানো হয়।
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সহ সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সেখানে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় স্যালুট প্রদান করে যখন বিউগলটি সে সময় শেষ পোস্টটি বাজিয়েছিল। পরে দলীয় নেতৃবৃন্দের পাশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার দলের প্রধান হিসেবে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন। এরপর তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে গিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বাংলাদেশের মহান নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
৫২ বছর আগে এই দিনে দেশের স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় সহযোগী- রাজাকার, আলবদর এবং আল-শামস--এর সহায়তায় দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
১৯৭১ সালের ১০-১৪ ডিসেম্বর চোখ বেঁধে নিজ নিজ বাসভবন থেকে অপহরণ করা হয় অধ্যাপক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলী ও লেখকসহ মাটির কয়েকশ কৃতী সন্তানকে।
প্রথমে তাদের চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীকালে, নতুন উদীয়মান বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার জন্য তাদের বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে, বিশেষ করে রায়েরবাজার এবং মিরপুরে ব্যাপকভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর যারা হত্যাকারীর রোষানলে পড়ে তাদের মধ্যে ছিলেন ডঃ আলিম চৌধুরী এবং ডঃ ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজুদ্দিন হোসেন, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান এবং সেলিনা পারভীন এবং সাহিত্যিক মুনীর চৌধুরী।
এরপর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thank you Your comments are very important to us, thank you for staying with us