বিএনপি-জামায়াতের দেয়া তিন দিনের দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় রাতেই মাঠে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিজিবির জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে বিজিবির টহল রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সারাদেশে মোতায়েন থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজিবি প্লাটুন কাজ করবে।
এই বিষয়ে বিজিবি সদরদফতরের সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ইমরান আলী জানান, ঢাকা মহানগরীর সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং যানবাহন চলাচল স্বভাবিক রাখার লক্ষ্যে আমাদের টহল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এদিকে সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক ভিডিওবার্তায় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে র্যাব ফোর্সেস সার্বিকভাবে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়নের তিন শতাধিক টহল সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছি। কেউ যদি কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার পরিকল্পনা করে তাকে সাথে সাথে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব ফোর্সের স্পেশাল টিম ও স্ট্রাইকিং রিজার্ভ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এভাবে যেকোনো সহিংসতা ও নাশকতা রোধে র্যাব ফোর্সেস সার্বক্ষণিক মাঠে নিয়োজিত থাকবে।’
উল্লেখ্য, রোববার (২৯ অক্টোবর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আগামী ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
রিজভী বলেন, ‘সারাদেশে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে বন্দি। অনেকেই গুম খুন হয়েছেন। আমাদের নেত্রী, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বিদেশে তাকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না। তাকে সুচিকিৎসা বঞ্চিত করা হয়েছে। তার মুক্তির জন্য, দেশের সীমাহীন বঞ্চনা, অব্যাহত দুর্নীতি লুটপাট, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার, নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে তল্লাশির নামে ভাঙচুরের প্রতিবাদে ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। রেলপথ, নৌপথ, রাজপথ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।’
এদিকে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পরেরদিন সোমবার জামায়াতে ইসলামীও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর এই কর্মসূচি পালন করবে তারা।
Good news
উত্তরমুছুনThanks
মুছুন