ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সব জঙ্গিকেই খতম করল সেনা, এনএসজি এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। আগেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। আর মঙ্গলবার দুই জঙ্গিকে খতম করে সেনা। এর আগে জঙ্গি হামলার সময়ই সামরিক বাহিনীর সারমেয় 'ফ্যান্টম' প্রাণ হারিয়েছে।
![]() |
চরম বলিদান মিলিটারি কুকুরের, জম্মু-কাশ্মীরে সেনা বহরে হামলা চালানো সব জঙ্গি খতম (AP) |
উৎসবের মরশুমে সম্প্রতি একের পর এক ঘটনায় রক্ত ঝরেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। এই আবহে ক'দিন আগে সেনা কনভয়ের অ্যাম্বুলেন্সে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সব জঙ্গিকেই খতম করল সেনা, এনএসজি এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। আগেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। আর মঙ্গলবার দুই জঙ্গিকে খতম করে সেনা। এর আগে জঙ্গি হামলার সময়ই সামরিক বাহিনীর সারমেয় 'ফ্যান্টম' প্রাণ হারিয়েছিল। তবে কোনও জওয়ান জখম হননি সেই হামলায়। আর পরে অভিযানেও কোনও জওয়ানের জখম হওয়ার খবর মেলেনি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, জম্মু থেকে মাত্র ২৮ কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে আখনুরের বট্টাল কেরি জোগওয়ান এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সেনা বহরে হামলা চালানো হয়েছিল কয়েকদিন আগে। সেই ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের খোঁজে এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালু হয়েছিল। এর আগে অবশ্য হামলার পরপরই সেনার গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল হামলায় জড়িত এক জঙ্গির। এরপর স্পেশাল ফোর্স, এনএসজি, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কয়েকজনকে নিয়ে এক যৌথ বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে অভিযান চালায়। বিএমপি-২ ইনফ্যান্টরি কমব্যাট যান, হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। ড্রোন এবং স্নিফার ডগও ব্যবহার করা হয় অভিযানে।
জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে দুই জঙ্গির সঙ্গে প্রবল গুলির লড়াই শুরু হয় যৌথ বাহিনীর। শেষ পর্যন্ত নিকেশ করা হয় সেই দুই জঙ্গিকেই। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মিলেছে। বাজেয়াপ্ত অস্ত্র দেখে মনে হচ্ছিল যেন তারা যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে একে৪৭ রাইফেল আছে। এছাড়াও আইইডি বিস্ফোরক ছাড়াও আরও অনেক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস থেকে ২৩ জন জঙ্গিকে জম্মু ও কাশ্মীরে খতম করেছে বাহিনী। এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীরও ২৪ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬ জন কশ্মীরে এবং ১৮ জন জম্মুতে প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজৌরি, পুঞ্চ অঞ্চলের জঙ্গলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শীতে তুষারপাতের আগে এই সব অঞ্চলে অনুপ্রবেশ বেড়ে যায় পাকিস্তান থেকে। ঘন জঙ্গল দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে জঙ্গিরা এদেশে ঢুকে পরার চেষ্টা করে। এই আবহে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৎপর সেনা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে আটটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ানদের কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই হামলায় শহিদ হয়েছিলেন দুই জওয়ান। প্রাণ হারিয়েছিলেন দু'জন কুলি। তারও আগে গত ২০ অক্টোবর গান্ডেরবাল জেলার সোনামার্গে একটি নির্মাণস্থলে জঙ্গিরা সাতজনকে হত্যা করেছিল। নিহতদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও ছয়জন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thank you Your comments are very important to us, thank you for staying with us